নড়াইলে ১৫ বছরের কিশোরীকে গণর্ধষণের অভিযোগ, বিপ্লব শরীফ কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নড়াইলের লোহাগড়ার নলদী ইউনিয়নের চাকুলিয়া গ্রামের বিল্লাল মোল্লার স্ত্রী জোসনা বেগম বাদী হয়ে ৭ জনের নামে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছে নাবালিকা মেয়ে, অথচ ওই ধর্ষিতার পূর্বে একটি বিবাহ হয়েছিল।

ধর্ষিতার এলাকার প্রতিবেশীরা জানান যে এটা এদের ব্যবসা, এর পূর্বে আরো কয়েকজন থেকে এমন ভাবে যৌন হয়রানির ফাঁদে ফেলে আদায় করে নিয়েছে মোটা অংকের টাকা। অথচ সাংবাদিক এর বাড়ি লোহাগড়া পৌরসভার মশাঘুনি গ্রামে।

বর্তমান বসবাস ঢাকা। কিন্তু ধর্ষিতার বাড়ি নলদী ইউনিয়নের চাকুলিয়া গ্রামে ধর্ষণ হয়েছে নড়াইল সদরে। অথচ ৭ জনের বাড়ি ৭ জায়গায়। টেক নাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত। আসামি ৭ জনের কাহার ও সাথে কাহার ও তেমন কোন পরিচয় নেই বলে জানা যায়। দুই এক জন ব্যতীত।

গ্রেপ্তার হওয়া বিপ্লব শরীফ (৩৫) লোহাগড়া উপজেলার নলদী ইউনিয়নের নখখালী গ্রামের লতিফ শরীফের ছেলে। তাঁকে বৃহস্পতিবার দুপুরে কারাগারে পাঠিয়েছে লোহাগড়া থানা পুলিশ ।

লোহাগড়া পৌরসভার মশাঘুনি গ্রামের সাংবাদিক মইনুল ইসলাম( বিপ্লব) কে আসামি করেছে ধর্ষিতার মা জোসনা বেগম।

মইনুল ইসলাম বিপ্লব লোহাগড়া সাংবাদিক ইউনিটির সভাপতি। দৈনিক প্রভাতী খবর ও অনলাইন এমটিভি লোহাগড়া উপজেলা প্রতিনিধি হিসাবে কর্মরত আছেন। তিনি বলেন আমাকে মিথ্যা ভাবে এই মামলার আসামি করা হয়েছে। আমি ও আমার পরিবার লোহাগড়া থেকে বাড়ি বিক্রি করে ঢাকা চলে গিয়েছি। এবং দীর্ঘদিন যাবৎ ঢাকাতেই বসবাস করছি।

অথচ আমাকে মিথ্যা ভাবে উক্ত মামলার আসামি করা হয়েছে। তিনি গনমাধ্যম কর্মীদের কে বলেন যে এই মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলা থেকে প্রশাসন দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে আমাকে অব্যাহতি দেয়া হোক।

ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীর বাড়ি লোহাগড়া উপজেলার নলদী ইউনিয়নের চাকুলিয়া গ্রামে। ওই ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে কিশোরীর মা জোসনা বেগম বাদী হয়ে লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৫-৬ জনকে আসামি করা হয়।

ওই ৭জন হলেন ১/ রেজাউল( ৩০) মাগুরা, ২/বিপ্লব শরীফ (৩৫) নখখালী, ৩/আলী(২৫) ঝিকরা, ৪/আয়শা খানম( ২৫) ঝিকরা, ৫/সাংবাদিক মইনুল ইসলাম ( বিপ্লব)(৪৫) লোহাগড়া পৌরসভা, ৬/সৈয়দ আলী মোল্লা (৪০)কোম খালী, ৭/ লিটন( ৪০) নড়াইল সদর।

লোহাগড়া থানার ওসি সৈয়দ আশিকুর রহমান বলেন, ‘গ্রেপ্তার হওয়া বিপ্লব শরীফ কে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।